রৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টি রৌদ্রবৃষ্টি রৌদ্রবৃষ্টি রোদ্রবৃষ্টি
   
 
  নোয়াখালীর দুঃখ ‘নোয়াখালী খাল’







নোয়াখালীর দুঃখ ‘নোয়াখালী খাল’
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

নোয়াখালী খাল হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের ভাটি অঞ্চলের জনবসতির উপর এক ব্যাপক প্রভাব ফেলে আসছে। এ খালটিই ছিল একদিন নোয়াখালীর জনগণের জন্য স্বর্গীয় আর্শীবাদ। কিন্তু এ খালটি এখন উপকূলীয় এ জনগণের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পলিমাটি সমৃদ্ধ নতুন ভূমি সাগর থেকে জেগেওঠার ফলে সাগর যত দক্ষিণে সরে গেছে ততই উজানে এ খালের তলদেশে পলি জমে জমে ভরাট হয়ে গেছে। দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এ খাল সংস্কার করার কথা থাকলেও এ অঞ্চলের অন্যতম সমস্যা জলাবদ্ধতার নির্মম শিকারে নিপতিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী। চীনের হোয়াংহো নদীকে যেমন চীনের দুঃখ বলা হয় তেমনি নোয়াখালী খালকে ‘নোয়াখালীর দুঃখ’ বলে অভিহিত করা হয়। নোয়াখালী খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের কার্যকারিতা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। নোয়াখালী খালসহ জেলার বিভিন্ন সংযোগ খালগুলোও এভাবে বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে নোয়াখালী জেলাবাসীর জীবনে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ। খালের মুখে পলি মাটি জমে বিপুল পরিমাণ আবাদী জমির চাষাবাদ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। এজন্য প্রায় দশ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন থেকে জেলাবাসী বঞ্চিত। বর্তমানে নোয়াখালী জেলার আয়তন তিন হাজার ছয়শ দশমিক নিরানব্বই বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে সুধারামের আয়তন এক হাজার একাত্তর দশমিক ছিষট্টি বর্গ কিলোমিটার যা পার্শ্ববর্তী ফেণী জেলা থেকেও বেশী।
সমস্যার নিরসনকল্পে সত্তর দশকের প্রথম দিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন র্বোড একটি প্রকল্প হাতে নেয়। সে প্রকল্পে রহমত খাল এবং নোয়াখালী খালের ভাটিতে দুটি রেগুলেটর নির্মাণ এবং খাল দুটিসহ শাখা খাল পুনঃখননের পরিকল্পনা করা হয়। এ প্রকল্পে রহমত খালের ভাটিতে লক্ষীপুরের মোজ্জার হাটে একটি রেগুলেটর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নোয়াখালী খালের প্রস্তাবিত রেগুলেটর নির্মাণ এবং খাল পুনঃখননের কাজ আজ পর্যন্ত করা হয়নি। ওয়াপদা খালটি বেগমগঞ্জের চৌমুহনী রেল স্টেশনের প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে আটিয়া বাড়ী রেলওয়ে ব্রীজটি ওয়াপদা খাল এবং নোয়াখালী খালের সংযোগ স্থানে খালের উজান হিসাবে চিহ্নিত। উজান হতে খালের দক্ষিণে মেঘনা নদী পর্যন্ত নোয়াখালী খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৬ কিলোমিটার। সেখান থেকে দক্ষিণে ভাটি পর্যন্ত উজানের অনেকগুলো খালসহ ভাটি অঞ্চলের বিভিন্ন পোল্ডারের খাল গুলো নোয়াখালী খালে পতিত হয়েছে। জেলা সদরসহ সুধারাম, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পলি মাটিতে নোয়াখালী খালের এক বিরাট অংশ বিশেষ করে মাঝামাঝি এবং ভাটির অংশ বিশেষ ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণে খালের পানি নিষ্কাশন মতা দারুণভাবে লোপ পাওয়ায় নোয়াখালীর উপকূলের ব্যাপক এলাকা জলাবদ্ধতায় প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে সমগ্র চাটখিল, বেগমগঞ্জ ও সদরের মধ্য ও পূর্বাঞ্চল খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সুধারাম থানার সোন্দলপুর, নেয়াজপুর, নরোত্তমপুর, ঘোষবাগ, বাটাইয়া এবং চাপরাশির হাটের ব্যাপক জমি সারাবছর পানিতে তলিয়ে থাকে। এজন্য এ অঞ্চলের মানুষগুলোকে দীর্ঘদিন থেকে খাদ্যাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। কোন কোন এলাকার মানুষজন জায়গা জমি থাকা সত্ত্বেও মুটে মজুরী করে অমানবিক জীবনের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র অসহায়ের মত দিন কাটাচ্ছে। ১৯৮২-৮৩ এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে অপরিকল্পিতভাবে কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের অধীনের এ খালের কিছু পুনঃখননের কাজ হাতে নেয়া হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর মতে এতে সময় এবং বিপুল অর্থ ও গমের অপচয় ছাড়া আর কিছুই হয়নি। এখন দিন দিন এর অবস্থা আরও অবনতি হচ্ছে। ভাটিতে কোন রেগুলেটর নির্মিত না হওয়ার ফলে খালের বিরাট অংশ পলিমাটিতে ভরাট হয়ে যায় এবং সময়ে সময়ে প্রচন্ডভাবে জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের আঘাতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে।  এদিকে সুধারাম, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জের এ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরিপ ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে পোল্ডার ৫৯/১ এ এবং ৫৯/১ বি বেড়ী বাঁধের সংযোগস্থল সোনাপুর এলাকার দেিণ কমপে ১৫ কিলোমিটার ভাটিতে গাংচিলে বড় আকারের একটি রেগুলেটর নির্মাণ পোল্ডার ৫৯/৩ বি এবং ৫৯/৩ সি সংযোগ বেড়ী বাঁধসহ কোজার ড্যাম নির্মাণ এবং প্রয়োজনীয় লুপ-কাট সহ ৩০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার খাল পুনঃখননের প্রস্তাব করে নোয়াখালী খাল পুনঃখনন এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরী করে। কিন্তু এ প্রকল্পটি আজ অব্দি বাস্তবায়িত না হওয়ায় নোয়াখালী উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এককালে নোয়াখালী খাল ছিলো প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা একটি বহমান নদী। মাঝি-মাল্লাদের ভাটিয়ালী সুরের ধ্বনীতে মানুষের মন জুড়িয়ে যেতো। রং-বেরংয়ের পাল তোলা নৌকার সারি ছুটে যেত এর বুক চিরে। দুর দূরান্তের পণ্যবাহী বজরা চলাচল করত এ খালে। কিন্তু বিগত যৌবনা নিস্তরঙ্গ জলকন্যার সেই রূপ এখন কেবলই ধূসর স্মৃতি হয়ে জেগে আছে। বর্ষাকালে এ খালে জোয়ারভাটা হত, শোঁ শোঁ শব্দে উঁটু হয়ে ধেয়ে আসত স্রোত। অথচ আজ জোয়ারের পলি মাটিতে বিলীন হয়ে গেছে খালের অস্তিত্ব। নোয়াখালী খাল ভরাট হয়ে পড়ায় জেলার ছয়টি থানার মধ্যে হাতিয়া দ্বীপ ছাড়া সুধারাম, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ ও চাটখিলের প্রায় দু’শ কিঃ মিঃ বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে। আজ আর নোয়াখালী খালে জোয়ার আসে না, খাল দিয়ে পানি মেঘনা নদী হয়ে সমুদ্রে যায়না। শুষ্ক মৌসুমে পুরো খাল একেবার শুকিয়ে যায় আবার বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দী অবস্থায় আটক থাকে। খালের মুখে একটি বড় আকারের রেগুলেটর নির্মাণ এবং খাল পুনঃখনন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই আশা করা হচ্ছে জনগণের দুঃখ লাঘব হবে।
মুখ থুবড়ে পড়ে আছে নোয়াখালী সেচ প্রকল্প
স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের আমলে দফায় দফায় নানা আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত নোয়াখালী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ৩৭০ বর্গমাইল এলাকা সেচ সুবিধা পাবে এবং প্রতি বছর ৫০ হাজার টন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। স্বাধীনতা পরবর্তী এ পর্যন্ত হিসাবে টাকার অঙ্কে যা দাঁড়ায় দুই হাজার কোটি টাকা। এ এলাকার মূল ভূ-খন্ডকে রার জন্য লীপুরের চর রমনীমোহনে মেঘনা নদীর মোহনায় রহমতখালী খালের  উপর রেগুলেটর তৈরী করা হয় ১৯৭২ সালে। রেগুলেটরের সাহায্যে প্রয়োজন মত পানি বের করা যায়। কিন্তু মেঘনার পানি খালে ঢোকার সুযোগ নেই।
বর্তমানে মেঘনা নদীতে লবণাক্ততা নেই। কিন্তু রেগুলেটরের সাহায্যে খালে পানি ঢোকার ব্যবস্থা না থাকায় শুকনো মৌসুমে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলায় সেচের জন্য পানি সংকট দেখা দেয়। এজন্য রহমতখালী রেগুলেটরে একটি 'নেভিগেশন লক গেইট’ নির্মাণ এবং কামতা খালের উপর একটি পাম্প হাউজ নির্মাণ করলে শুকনো মৌসুমে ৯২ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধা পাবে। এ প্রকল্পটি সেচ, পানি উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন। কামতাখালের উপর পাম্প হাউস নির্মিত হলে ডাকাতিয়া নদীর পানি খালের মাধ্যমে ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পাম্পের সাহায্যে প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। ১৯৯৭ সালের ২০ জুন লীপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্তী শেশখ হাসিনা নোয়াখালী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার পরও আজ পর্যন্ত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কোন লণ দেখা যায়নি।
প্রহর গুনছে ভাটি অঞ্চলের ৪০ লাখ মানুষঃ
একটি সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দূর্ভোগ মোচনের প্রহর গুনছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চেলের ভাটি অঞ্চলের ৪০ লাখেরও অধিক মানুষ। ৫০ বছর ধরে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভাবে এলাকাবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। বঞ্চিত হয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লার ৪০ লাখেরও অধিক মানুষ। জলাবদ্ধতার নির্মম দুর্ভোগের কারণে এ অঞ্চলে কৃষি ও শিল্প খাতে ব্যাপক কোন উন্নতি হয়নি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকার এর কাজ শুরু করে। এর জন্য প্রাথমিক কাজ শুরুর জন্য টাকা বরাদ্দও হয়েছিল কিন্তু পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের সরকারগুলো মানুষের দাবির মুখে বেশ কয়েকবার কাজ শুরুর প্রক্রিয়া দেখালোও অজানা কারণে মাঝপথে ফাইলবন্দি হয়ে পড়ে আছে। বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন নামও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর কোন কাজই হয়নি। ১৯৮০-৮১ সালে কামতা ও মজনাথ রেগুলেটর তৈরীর মাধ্যমে এলাকায় সেচ উন্নয়নের জন্য লীপুরের একটি পানি উন্নয়ন বিভাগীয় দফতর চালু করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত  এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন অর্থবহ ভূমিকা নেই। নাম পরিবর্তন করে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা জরিপের অজুহাতে স্বাভাবিক নিষ্কাশন ব্যবস্থায় খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় যে সামান্য কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়েছিলো তাও এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত চালু প্রকল্পগুলোর চেয়ে উক্ত প্রকল্পের এলাকাটির সম্পূর্ণ ভিন্নতর। ঢাকা থেকে ৭০/৮০ কিলোমিটার দূরে দেশের দণি-পূর্বাঞ্চলীয় বিস্তৃত মেঘনা নদী বিধৌত ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত বিস্তৃত ব-দ্বীপমালা নিয়ে এ প্রকল্পটি তৈরী করা হয়। বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ৪০ লাখেরও বেশী  এ অঞ্চলের অধিবাসী। মেঘনা ও সাগর বিধৌত এ অঞ্চলের ভূমি অত্যন্ত উর্বর। পলি মাটি সমৃদ্ধ এ উর্বর অঞ্চলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি ফসল ফলে। রাসায়নিক সারের ব্যবহারও এ অঞ্চলে অনেক কম। পূর্বে মুহূরী সেচ প্রকল্প, পশ্চিমে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প, দেিণ উপকূলীয় বাঁধ বেষ্টিত এলাকার চাষাবাদ এবং বসবাসযোগ্য ভূমির পরিমাণ প্রায় ছয় লাখ একর। জলাবদ্ধতা এবং বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস এ অঞ্চরের মানুষের অন্যতম সমস্যা। এ জন্য বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ৪০ লাখের বেশী লোক দুর্ভোগ মোচনের প্রহর গুণছে এ সেচ প্রকল্প প্রত্য করার জন্য। চৌমুহনীর অনেক সড়ক পথে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে, যানজট ও সড়ক পথের চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্যের কারণে এই নৌপথের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু একশ্রেণীর অবৈধ ব্যবসায়ী খালের দিকে তাদের ঘরগুলো সম্প্রসারণ করে পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাব কেন্দ্রের সঙ্গে এই বিশাল অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার নৌযোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ র্ববসা কেন্দ্রটির অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। অন্যদিকে খালের উপর অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ এবং খালের উপর ছোট ছোট নীচু পোল নির্মাণসহ কোথাও কোথাও পানি চলাচল বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে এ বিশাল এলাকার নিম্নাঞ্চলে প্লাবন দেখা দিচ্ছে। তিগ্রস্ত হচ্ছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাঘাট। প্রতি বছর নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর জমির ফসল। চৌমুহনী বড় পুল এলাকাটি তিনটি খালের সংযোগস্থলে অবস্থিত। পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়েছে চৌমুহনী-ফেণী খাল এবং উত্তরে চৌমুহনী- ছাতারপাইয়া খাল এবং দেিণ নোয়াখালী খাল। এই তিনটি খাল হচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এই তিনটি খালের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে অসংখ্য শাখা খালের। বর্ষা মৌসুমে ফেণীসহ নোয়াখালীর পূর্বাঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের চাপ পড়ে উক্ত খালগুলোর উপর। উক্ত খালগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে লীপুরের রহমতআলী খালের। আবার রহমতখালী খালের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে মেঘনার সঙ্গে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ খালগুলো অর্থাৎ ফেণী-চৌমুহনী-ছাতারপাইয়া ও চৌমুহনী নোয়াখালী খাল ভরাট কের অবৈধভাবে দোকানপাট বাড়িঘর গড়ে উঠেছে। ফলে ফেণী ও ছাতারপাইয়ার পানির চাপে বর্ষা মৌসুমের বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ ডুবে যায়। ডুবে যায় হাজার হাজার একর জমির ফসল , বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট।
চৌমুহনী, ফেণী খালের পাশ দিয়ে চলে গেছে চৌমুহনী ফেণী সড়ক। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি সেই খাল ভরাট করে খালের উপর পুল ও ইটভাটার রাস্তা করার কারণে চৌমুহনীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের নৌযোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
একসময় এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্রের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ছাড়াও নৌ যোগাযোগের সুন্দর ব্যবস্থা ছিল। সড়ক যোগাযোগের অব্যবস্থা সহ অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে ব্যবসায়ীরা সাধারণত নৌপথেই মালামাল পরিবহনের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কিন্তু খালের কারণে নৌপথ ব্যবহার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখন এই অবৈধ বাড়ীঘর ও খালের উপর রাস্তা অপসারণ করে নৌ চলাচলের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনলে চৌমুহনীসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা কেন্দ্রগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠবে। উপকৃত হবে নিম্নাঞ্চলের লাখ লাখ কৃষক, রা পাবে হাজার হাজার একর জমির ফসলাদি। প্রতিবছর সংস্কার করতে হবে না হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তাঘাট। এ ব্যাপারে জনগণ ও চৌমুহনীর ব্যবসায়ী মহল সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপরে কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোরদাবি জানিয়েছে।

Mahmudul Huq Foez
 
আপনজন
 
ভালোবাসার একটি গোলাপ
সাতরাজারই ধন,
কোথায় খুঁজিস ওরে ক্ষেপা
এইতো আপন জন।
নীরবতা
 
নীরবে কেটেছে দিবস আমার
নীরবে কেটেছে রাত,
নীরবে হেনেছে হৃদয় আমার
প্রণয়ের অভিসম্পাত।
রঙ
 
রঙ দেখেছো রঙ ?
শাওন রাতের
নিকষ কালো
অন্ধকারের রঙ !
রঙ দেখেছো রঙ !
কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
 
কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী একটি দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। নোয়াখালী সদরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই চর এলাকা। এখানে বাস করে সাধারন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের অধিকাংশই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। তাছাড়াও দিনমজুর, রিক্সাশ্রমিক, জেলে প্রভৃতি পেশার মানুষ এখানে বাস করে। খুব কমসংখ্যক নারি কৃষি সহ বিভিন্ন কাজ করলেও তারা মূলত ঘরকন্যার কাজ করে থাকে। ঘর কেন্দ্রিক নানান কাজের সঙ্গেও এরা জড়িত। এইসব নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শিক্ষার হার খুব কম। জীবনযাপন সম্পর্কে সচেতনতাও এদের তেমন নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এরা বেশীরভাগ সময়ে সনাতন জ্ঞান, নিজস্ব ধারনা এবং আকাশের হাবভাব দেখে বুঝতে চেষ্টা করে। প্রায় ক্ষেত্রে এরা নিয়তির উপর নিজেদেরকে সমর্পন করে থাকে। তবে গত কয়েক বছরের বড় ধরনের ঝড় জলোচ্ছাস ও সাম্প্রতিক সিডরের কারনে এদের ভিতর কিছুটা সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এদের অধিকাংশের বাড়িতে রেডিও কিংবা টেলিভিশন নেই। তবে তারা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে রেডিও টেলিভিশন থেকে খবরাখবর পেয়ে থাকে।
গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে অনেক গুলো বড় বড় ঝড় জলোচ্ছাস গর্কী সহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে গিয়েছিলো। সে দুর্যোগ গুলোতে প্রচুর প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ‘৫৮.’৬০, ও ‘৭০ এর জলোচ্ছাস এ অঞ্চলে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলো। সে সময় এখানকার মানুষ কোনো মাধ্যম থেকে কেনো সংবাদই পেতোনা। সে সময়ের সরকার গুলোও ছিলো এব্যপারে একেবারেই উদাসীন।
নোয়াখালী সদরের সর্বদক্ষিনে হাতিয়া ষ্টিমার ঘাট ও অতিসম্প্রতি বয়ার চরের সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলে ফেরী চলাচলের জন্য চেয়ারম্যান ঘাট নামক স্থানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন সংস্থার একটি পল্টুন স্থাপিত হয়েছে । এখানে হাতিয়া দ্বীপ ও নোয়াখালীর মূল ভূখন্ডের মধ্যে ফেরি যোগাযোগ রয়েছে । এ এলাকায় মেঘনার মোহনায় প্রচুর সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ও ছোটছোট জেলে নৌকা এসে ভীড়ে থাকে । এই ফেরীঘাটের সুবাদে এখানে একটি জমজমাট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানের অনেক জেলে জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই নিজস্ব কোনো রেডিও নেই। যারা চরের কাছাকাছি থেকে সাধারনত: মাছ ধরে থাকে। ছোট নৌকা নিয়ে তারা কখনো গভীর সমুদ্রে যায় না। কখনো কোনো দুর্যোগ দেখলে নদীর হাবভাব বুঝে সাবধানতা অবলম্বন করে। সারাদিন মাছ ধরা শেষে রাতে তারা চেয়ারম্যান ঘাটে কিংবা হাতিয়া ষ্টিমার ঘাটে আসলে লোকমুখে বিভিন্ন সংবাদ পেয়ে থাকে। নদীর কূলের এ বাজার গুলোতে এখন রেডিও তেমন শুনা হয়না। চা দোকান গুলোতে টেলিভিশন আছে । তাই সেখানে কাষ্টমারের ভীড় লেগে থাকে। যে দোকানে টেলিভিশন নেই সে দোকানে লোকজন তেমন যায় না। এসব দোকান গুলোতে বেশীর ভাগ সময় নাটক ও সিনেমা বেশী দেখা হয়। তবে দুর্যোগকালীন সময় সংবাদ বেশী দেখা হয়। এলাকার মানুষদের বদ্ধমূল ধারনা জন্মেছে যে, রেডিও টেলিভিশনে জাতীয় সংবাদ ছাড়া স্থানীয় সংবাদ প্রচারিত হয়না। তাই তারা খুব প্রয়োজনীয় তথ্য ও স্থানীয় সংবাদ গুলো লোকমারফত পেয়ে থাকে। তবে তা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। দুর্গম অঞ্চলের অনেক মানুষ জানিয়েছেন গত সিডরের সময় তারা লোকমুখে সংবাদ পেয়েছিলেন। সাগরের অবস্থা দেখে তারা সাগর থেকে ডাঙ্গায় চলে এসেছেন, তবে অনেকে উপরে সাগরের কাছাকাছি নিজেদের ঘরেই ছিলেন। অনেকেই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।
জরিপের বিশ্লেষন: কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content) সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ কার্য চালানোর সময় জানা গেছে, এরকম একটি সম্প্রচার কেন্দ্র সন্মন্ধে অনেকেরই ধারনা খুবই অস্পস্ট। এব্যপারে অনেকের কোনো রকম কোনো ধারনাই নেই। তবে বিষয়টি বুঝার পরে সবার মধ্যেই প্রচুর আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তারা সকলেই মত দেন যে এরকম একটি কেন্দ্র এলাকায় খুবই প্রয়োজন।
নোয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলের কয়েকটি এলাকায় মোট ২০জনের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। এখানে মাত্র দুজনের রেডিও এবং মাত্র এক জনের নিজস্ব একটি ছোট্ট টেলিভিশন ও রেডিও রয়েছে। তাদের অবশ্য খবর তেমন শুনা হয়না। রেডিওতে গান এবং টেলিভিশনে নাটক দেখা ও গানশুনা বেশী হয়। নারিদের শুধু নাটক ও গানই শোনা হয়। তবে পুরুষরা মাঝে মাঝে খবর শুনে থাকে। নারিদের মধ্যে খবর শুনার আগ্রহ খুব কম। গত সিডরের সময় পুরুষরা ১০০ শতাংশই রেডিও কিংবা টেলিভিশনে খবর পেয়েছেন কিন্তু ১০০ শতাংশ নারি বলেছেন তারা তাদের স্বামী কিংবা লোকমারফত খবর পেয়েছেন। ৮০শতাংশ বলেছেন তারা ঝড়ের পূর্বাভাষ পেয়ে নিজেদের জায়গায়ই অবস্থান করেন। এর কারণ হিসাবে তাঁরা বলেন বাড়ির নিরাপত্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। যেমন সেখানে কোথাও পানি বা বাথরুমের ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের খুবই অসুবিধা পড়তে হয়। তাই অনেকেই সেখানে যেতে তেমন আগ্রহী হয়না। নিয়তির উপরও তারা অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১০০ শতাংশ বলেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়কালে তাঁরা আবহাওয়ার সংবাদ শুনতে চান। ১০০ শতাংশ বলেছেন তাদের অনুষ্ঠান দেখতে সবচেয়ে বেশী আগ্রহ নাটকের প্রতি । তবে বাংলা সিনেমার প্রতিও তাদের আগ্রহ রয়েছে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন, কমিউনিটি রেডিও স্থাপিত হলে শিক্ষার উপর সবচেয়ে বেশী অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেয়া উচিত। অন্য ৩০ শতাংশ জানিয়েছেন শাসন না করলে শিশুদের পড়াশুনা হয়না। তবে তারা এও জানিয়েছেন এর মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়। এ বিষয়ে শিশুদের উপযোগী অনুষ্ঠান প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা তারা জানিয়েছেন। ১০০ শতাংশ জানিয়েছেন বয়ো:সন্ধিকালীন সময়ে মেয়েদের সমস্যা বিষয়ক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান বিশেষ ভাবে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। সবাই মনে করেন এ ব্যপারে মেয়েরা এমন কি অভিভাবকরাও এ বিষয়ে তেমন সচেতন নন। এ নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক দ্বিধা কাজ করে। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা বোধ করেন। এথেকে মেয়েরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে ১০০শতাংশ জানিয়েছেন মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, সাধারন রোগবালাই, ডায়রিয়া, খাদ্যে পুষ্টিমান, টিকা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা মুলক অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। তবে মাত্র এক জন এইড্‌স বিষয়ে অনুষ্ঠান করার কথা জানিয়েছেন। বাসস্থান বিষয়ে ৭৫শতাংশ জানিয়েছেন, ভূমি ও ভূমির অধিকার বিষয়ে নানান অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। অবশ্য এ ব্যপারে পুরুষরাই বেশী আগ্রহী। নোয়াখালীতে তাঁত শিল্পের তেমন কোনো প্রসার নেই। এবিষয়ে কারো তেমন কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ১০০শতাংশই হস্তশিল্প ও নারিদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করার কথা বলেছেন। একজন মন্তব্য করেন এক সময় নোয়াখালীতে প্রচুর তাঁতের প্রসার ছিলো । কিন্তু কালের গর্ভে তা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্থানে স্থানে যুগীপাড়া ছিলো। সেখানে লুঙ্গি গামছা শাড়ি এসব স্থানীয় ভাবে তৈরী হতো। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এগুলো বাইরের জেলা গুলোতে চালান হতো। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে পারলে সেগুলো হয়তো আবার চালু হবে। আশা করা যায় এ থেকে তখন হয়তো এ এলাকার অনেক উন্নতি সাধিত হবে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন কৃষিঋণ, সার, বীজ, উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ, হাঁস মুরগি পালন, কীটনাশক ছাড়া সব্জী চাষ, খাদ্যে পুষ্টিমান ইত্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা প্রয়োজন।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যম হওয়া উচিত নাটক, কথিকা, জীবন্তিকা ইত্যাদির মাধ্যমে। এরা আরো জানিয়েছেন স্থানীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে সবার কাছে তা গ্রহনযোগ্য হবে। এছাড়াও স্থানীয় ভাষায় নাটক, গান এবং স্থানীয় সমস্যা ও সমাধান ইত্যাদি বেশী বেশী প্রচার হওয়া দরকার বলে সবাই জানিয়েছেন।
উপসংহার:- সার্বিক জরিপে দেখা যায় এ এলাকার জন্য কমিউনিটি রেডিওর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুর্গম এ অঞ্চলের মানুষ কাছের খবরটিও সঠিক ভাবে পায়না। কথায় কথায এলাকাবাসী জানায়, ‘‍ইরােক েবামায় মানুষ মরার খবর আমরা সাথে সাথে রেডিও টেলিভিশনে পাই কিন্তু পাশের গ্রামে মড়ক লেগে হাঁসমুরগী মারা গেলে আমরা তার খবর পাইনা‍ অথচ এটি আমাদের জন্য অধিকতর জরুরী’। এখানে এটি স্থাপিত হলে শুধু দুর্যোগকালীন সময়েই নয়, এ কেন্দ্র গ্রামীণ জনগণের সার্বক্ষনিক দিনযাপনের অনুসঙ্গ হয়ে থাকেব। স্থানীয় ভাষায় স্থানীয় আঙ্গিকে স্থানীয় সমস্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে এটি জনগনের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং অধিক গ্রহনযোগ্যতা পাবে। এলাকায় সচেতনতা বাড়বে। উপকৃত হবে প্রান্তিক মানুষ।

মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ
ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক
মোবাইল: ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail: mhfoez@gmail.com

Mail to : massline@bangla.net
masslinemediacenter@yahoo.com



 
সকল সত্ব সংরক্ষিত সকল সত্ব সংরক্ষিত সকল সত্ব সংরক্ষিত This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free