রৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টি রৌদ্রবৃষ্টি রৌদ্রবৃষ্টি রোদ্রবৃষ্টি
   
 
  মুক্ত দিবস

সাত ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস

মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময় ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালীর অকুতভয় মুক্তিযোদ্ধারা অত্যন্ত সুচরু পরিকল্পনায় সম্মিলিত আক্রমনে মুক্ত করেছিলো নোয়াখালী জেলা। তখন ফেনী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে ছিলো বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা। ১৯৭১ সনের ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ব্যপক নৃশংসতার মধ্য দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। তার আগে তারা দেশের ব্যাবসার প্রধান প্রাণ কেন্দ্র চৌমুহনীতে ব্যাপক ধ্বংসজ্ঞ চালায়। হত্যা লুঠ আর অগ্নি সংযোগে কোলাহল মুখর এ প্রধান ব্যস্ত বানিজ্যকেন্দ্র নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে গিয়েছিলো ওরা। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হবার পর প্রায় এক মাস নেয়াখালী শহর মুক্ত ছিলো। সে সময় নোয়াখালীর টাউন হলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র বা সদর দপ্তর। শত শত তরুণ স্বেচ্ছায় শতস্ফুর্ত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য এখানে এসে নাম  লেখাতে লাগলেন। এখান থেকেই সমগ্র  নোয়াখালীতে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিলো। পরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী শহরে প্রবেশ করলে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তাঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। সমগ্র যুদ্ধকালীন সময়ে সেখান থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা পরিকল্পিত ভাবে শহরে গেরিলা আক্রমন চালিয়ে যেতো।
নোয়াখালী শহর মুক্ত হবার অনেক আগেই শহরের  চতুর্দিক মুক্তযোদ্ধাদের পূর্ণ  নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। তখন এক এক বার এক এক যায়গা থেকে যুদ্ধ পরিচালিত হতো। বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার মুজিব বাহিনী প্রধান ছিলেন মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে ক্ষীপ্ত সাহসিকতায় তিনি যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাঁর নেতৃত্ব একে একে পতন হতে লাগলো রাজাকার আলবদরদের আস্তানা। শহর আক্রমনের আগে একটি মুক্তিযোদ্ধা রেকি টিম অত্যন্ত গোপনে শহরের উপর  আক্রমনের  পরিকল্পনা তৈরী করার জন্য পরিদর্শন করে গেলো। রেকি টিমে ছিলেন গোলাম রসুল মানিক, আব্দুল মান্নান প্রমুখ যোদ্ধারা। ছদ্ধবেশে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে যে কোনো সময়ে ধরা পড়ার সম্ভাবনা ছিলো। আর ধরা পড়লে অবধারিত নির্মম যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু। কিন্তু মুক্তি পাগল সে অকুতোভয় যোদ্ধারা সকল ভয়ভীতি তুচ্ছ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। পরিকল্পনা ও আক্রমনের ছক তৈরী করে মুক্তিযোদ্ধারা কানকির হাট মুক্তাঞ্চল থেকে অগ্রসর হতে লাগলেন। ছয় ডিসেম্বর রাতের মধ্যেই সমগ্র নোয়াখালী শহর  ঘিরে ফেলেন যোদ্ধারা। চারটি ভাগে চারজনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সুদৃঢ় অবস্থান নিলেন। উত্তরে শফিকুর রহমান, পশ্চিমে মোর্শারফ হোসেন ও ওলি আহম্মদ, পূর্বে কমান্ডার রফিক উল্যাহ এবং দনি দিক থেকে বি এল এফ মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। তাঁর সাথে ছিলেন ফজলে এলাহী, জিএস কাশেম, থানা সহ: কমান্ডার অবুল কাশেম, ফজলুল হক বাদল, মোজাম্মেল হক মিলন, মিজানুর রহমান, মমতাজুল করিম বাচ্চু, মোস্তফা কামাল, আজিজুর রহমান ইকবাল সহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেটি ছিলো অত্যন্ত সুশৃঙ্খল সংঘবদ্ধ আক্রমন। সে সময় জেলা প্রশাসক ছিলেন, খানে আলম খান। তাঁকে খবর দেয়া হলো, চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে মুক্তিযোদ্ধারা। এরই মধ্যে পতন হোলো শহরের পূর্ব পাশে রাজাকারদের ঘাঁটি নাহার বিল্ডিং ও মাইজদী কোর্ট ষ্টেশান। সর্বশেষ টার্গেট মাইজদী পি,টি,আই। এ ভবনেই ছিলো পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ও রাজাকার আলবদরদের শেষ  ঘাঁটি। অসংখ্য হত্যা নারী নির্যাতন সহ প্রচুর নৃসংশতার স্বাক্ষর রেখেছিলো ওরা এখানে। সূর্য উঠার সাথে সাথে খুব প্রত্যুষে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশী অক্রমনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো শত্রুর ঘাঁটির উপর। ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি আর বীর বাঙালীর জয়ধ্বনীতে শহরের আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠলো। গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ শেষ যুদ্ধ প্রত্য করতে ছুটেএসে ছিলো পিটিআইতে। শুভক্ষণটি আর মুক্তির স্বাদ গ্রহন করার জন্য ওরা মিছিলের পর মিছিল করে ছুটে আসছিলো। সেই ভবন থেকে তখনো গুলি ছুঁড়ছিলো ঘৃনিত পরাজিত আলবদও রাজাকাররা। সেদিন তাদের ছোঁড়া গুলি একটি মিছিলে এসে পড়লে দু’জন অজ্ঞাত নামা গ্রামবাসী নিহত হন। নোয়াখালীর শেষ যুদ্ধেও শেষ রণহুঙ্কারে অল্পক্ষণের মধ্যেই পতন হয় জেলায় হানাদারদের শেষ ঘাঁটি। বন্দুক ফেলে একে একে হাত তুলে বেরিয়ে আসতে লাগলো অসংখ্য ঘৃনিত রাজাকার আলবদর। আত্মসমর্পণ করলো তারা। যুদ্ধেও নিয়মে আত্মসমর্পণ করলে আর কোনো রক্ত নয়। সবাইকে পাঠিয়ে দেয়া হলো জেলা কারাগারে। হাজার হাজার মুক্তি পাগল শহর বাসীর সাথে নোয়াখালীর মুক্তিযোদ্ধারা উড্ডীন করলো বাংলাদেশের সোনালী মানচিত্র আঁকা রক্তলাল আর গাঢ় সবুজ পতাকা। সমগ্র শহর জুড়ে পত পত করে উড়তে লাগলো বাংলাদেশের কোটি জনতার হৃদয়ের প্রিয় পতাকা। মুক্ত হোলো দক্ষিণ পূর্ব বাংলার সাগরের লোনাজলে ধোয়া শান্ত স্গিগ্ধ  বৃক্ষ শোভিত এক বিস্তীর্ণ সবুজ অঞ্চল। সেদিনই মুক্তিযোদ্ধারা সুসৃঙ্খল ভাবে জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সেই বিরত্বের  স্মৃতি ধরে রাখার জন্য নোয়াখালী পৌরসভা শেষ যুদ্ধের স্থানটিতে একটি স্বারক স্তম্ভ নির্মান করে। মহান স্বাধীনতা যু্দ্ধের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা আ,স,ম, আবদুর রব নৌ-পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে এ স্তম্ভটি উদ্বোধন করেন।          

Mahmudul Huq Foez
 
আপনজন
 
ভালোবাসার একটি গোলাপ
সাতরাজারই ধন,
কোথায় খুঁজিস ওরে ক্ষেপা
এইতো আপন জন।
নীরবতা
 
নীরবে কেটেছে দিবস আমার
নীরবে কেটেছে রাত,
নীরবে হেনেছে হৃদয় আমার
প্রণয়ের অভিসম্পাত।
রঙ
 
রঙ দেখেছো রঙ ?
শাওন রাতের
নিকষ কালো
অন্ধকারের রঙ !
রঙ দেখেছো রঙ !
কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
 
কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী একটি দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। নোয়াখালী সদরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই চর এলাকা। এখানে বাস করে সাধারন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের অধিকাংশই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। তাছাড়াও দিনমজুর, রিক্সাশ্রমিক, জেলে প্রভৃতি পেশার মানুষ এখানে বাস করে। খুব কমসংখ্যক নারি কৃষি সহ বিভিন্ন কাজ করলেও তারা মূলত ঘরকন্যার কাজ করে থাকে। ঘর কেন্দ্রিক নানান কাজের সঙ্গেও এরা জড়িত। এইসব নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শিক্ষার হার খুব কম। জীবনযাপন সম্পর্কে সচেতনতাও এদের তেমন নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এরা বেশীরভাগ সময়ে সনাতন জ্ঞান, নিজস্ব ধারনা এবং আকাশের হাবভাব দেখে বুঝতে চেষ্টা করে। প্রায় ক্ষেত্রে এরা নিয়তির উপর নিজেদেরকে সমর্পন করে থাকে। তবে গত কয়েক বছরের বড় ধরনের ঝড় জলোচ্ছাস ও সাম্প্রতিক সিডরের কারনে এদের ভিতর কিছুটা সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এদের অধিকাংশের বাড়িতে রেডিও কিংবা টেলিভিশন নেই। তবে তারা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে রেডিও টেলিভিশন থেকে খবরাখবর পেয়ে থাকে।
গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে অনেক গুলো বড় বড় ঝড় জলোচ্ছাস গর্কী সহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে গিয়েছিলো। সে দুর্যোগ গুলোতে প্রচুর প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ‘৫৮.’৬০, ও ‘৭০ এর জলোচ্ছাস এ অঞ্চলে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলো। সে সময় এখানকার মানুষ কোনো মাধ্যম থেকে কেনো সংবাদই পেতোনা। সে সময়ের সরকার গুলোও ছিলো এব্যপারে একেবারেই উদাসীন।
নোয়াখালী সদরের সর্বদক্ষিনে হাতিয়া ষ্টিমার ঘাট ও অতিসম্প্রতি বয়ার চরের সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলে ফেরী চলাচলের জন্য চেয়ারম্যান ঘাট নামক স্থানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন সংস্থার একটি পল্টুন স্থাপিত হয়েছে । এখানে হাতিয়া দ্বীপ ও নোয়াখালীর মূল ভূখন্ডের মধ্যে ফেরি যোগাযোগ রয়েছে । এ এলাকায় মেঘনার মোহনায় প্রচুর সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ও ছোটছোট জেলে নৌকা এসে ভীড়ে থাকে । এই ফেরীঘাটের সুবাদে এখানে একটি জমজমাট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানের অনেক জেলে জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই নিজস্ব কোনো রেডিও নেই। যারা চরের কাছাকাছি থেকে সাধারনত: মাছ ধরে থাকে। ছোট নৌকা নিয়ে তারা কখনো গভীর সমুদ্রে যায় না। কখনো কোনো দুর্যোগ দেখলে নদীর হাবভাব বুঝে সাবধানতা অবলম্বন করে। সারাদিন মাছ ধরা শেষে রাতে তারা চেয়ারম্যান ঘাটে কিংবা হাতিয়া ষ্টিমার ঘাটে আসলে লোকমুখে বিভিন্ন সংবাদ পেয়ে থাকে। নদীর কূলের এ বাজার গুলোতে এখন রেডিও তেমন শুনা হয়না। চা দোকান গুলোতে টেলিভিশন আছে । তাই সেখানে কাষ্টমারের ভীড় লেগে থাকে। যে দোকানে টেলিভিশন নেই সে দোকানে লোকজন তেমন যায় না। এসব দোকান গুলোতে বেশীর ভাগ সময় নাটক ও সিনেমা বেশী দেখা হয়। তবে দুর্যোগকালীন সময় সংবাদ বেশী দেখা হয়। এলাকার মানুষদের বদ্ধমূল ধারনা জন্মেছে যে, রেডিও টেলিভিশনে জাতীয় সংবাদ ছাড়া স্থানীয় সংবাদ প্রচারিত হয়না। তাই তারা খুব প্রয়োজনীয় তথ্য ও স্থানীয় সংবাদ গুলো লোকমারফত পেয়ে থাকে। তবে তা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। দুর্গম অঞ্চলের অনেক মানুষ জানিয়েছেন গত সিডরের সময় তারা লোকমুখে সংবাদ পেয়েছিলেন। সাগরের অবস্থা দেখে তারা সাগর থেকে ডাঙ্গায় চলে এসেছেন, তবে অনেকে উপরে সাগরের কাছাকাছি নিজেদের ঘরেই ছিলেন। অনেকেই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।
জরিপের বিশ্লেষন: কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content) সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ কার্য চালানোর সময় জানা গেছে, এরকম একটি সম্প্রচার কেন্দ্র সন্মন্ধে অনেকেরই ধারনা খুবই অস্পস্ট। এব্যপারে অনেকের কোনো রকম কোনো ধারনাই নেই। তবে বিষয়টি বুঝার পরে সবার মধ্যেই প্রচুর আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তারা সকলেই মত দেন যে এরকম একটি কেন্দ্র এলাকায় খুবই প্রয়োজন।
নোয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলের কয়েকটি এলাকায় মোট ২০জনের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। এখানে মাত্র দুজনের রেডিও এবং মাত্র এক জনের নিজস্ব একটি ছোট্ট টেলিভিশন ও রেডিও রয়েছে। তাদের অবশ্য খবর তেমন শুনা হয়না। রেডিওতে গান এবং টেলিভিশনে নাটক দেখা ও গানশুনা বেশী হয়। নারিদের শুধু নাটক ও গানই শোনা হয়। তবে পুরুষরা মাঝে মাঝে খবর শুনে থাকে। নারিদের মধ্যে খবর শুনার আগ্রহ খুব কম। গত সিডরের সময় পুরুষরা ১০০ শতাংশই রেডিও কিংবা টেলিভিশনে খবর পেয়েছেন কিন্তু ১০০ শতাংশ নারি বলেছেন তারা তাদের স্বামী কিংবা লোকমারফত খবর পেয়েছেন। ৮০শতাংশ বলেছেন তারা ঝড়ের পূর্বাভাষ পেয়ে নিজেদের জায়গায়ই অবস্থান করেন। এর কারণ হিসাবে তাঁরা বলেন বাড়ির নিরাপত্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। যেমন সেখানে কোথাও পানি বা বাথরুমের ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের খুবই অসুবিধা পড়তে হয়। তাই অনেকেই সেখানে যেতে তেমন আগ্রহী হয়না। নিয়তির উপরও তারা অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১০০ শতাংশ বলেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়কালে তাঁরা আবহাওয়ার সংবাদ শুনতে চান। ১০০ শতাংশ বলেছেন তাদের অনুষ্ঠান দেখতে সবচেয়ে বেশী আগ্রহ নাটকের প্রতি । তবে বাংলা সিনেমার প্রতিও তাদের আগ্রহ রয়েছে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন, কমিউনিটি রেডিও স্থাপিত হলে শিক্ষার উপর সবচেয়ে বেশী অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেয়া উচিত। অন্য ৩০ শতাংশ জানিয়েছেন শাসন না করলে শিশুদের পড়াশুনা হয়না। তবে তারা এও জানিয়েছেন এর মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়। এ বিষয়ে শিশুদের উপযোগী অনুষ্ঠান প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা তারা জানিয়েছেন। ১০০ শতাংশ জানিয়েছেন বয়ো:সন্ধিকালীন সময়ে মেয়েদের সমস্যা বিষয়ক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান বিশেষ ভাবে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। সবাই মনে করেন এ ব্যপারে মেয়েরা এমন কি অভিভাবকরাও এ বিষয়ে তেমন সচেতন নন। এ নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক দ্বিধা কাজ করে। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা বোধ করেন। এথেকে মেয়েরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে ১০০শতাংশ জানিয়েছেন মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, সাধারন রোগবালাই, ডায়রিয়া, খাদ্যে পুষ্টিমান, টিকা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা মুলক অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। তবে মাত্র এক জন এইড্‌স বিষয়ে অনুষ্ঠান করার কথা জানিয়েছেন। বাসস্থান বিষয়ে ৭৫শতাংশ জানিয়েছেন, ভূমি ও ভূমির অধিকার বিষয়ে নানান অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। অবশ্য এ ব্যপারে পুরুষরাই বেশী আগ্রহী। নোয়াখালীতে তাঁত শিল্পের তেমন কোনো প্রসার নেই। এবিষয়ে কারো তেমন কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ১০০শতাংশই হস্তশিল্প ও নারিদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করার কথা বলেছেন। একজন মন্তব্য করেন এক সময় নোয়াখালীতে প্রচুর তাঁতের প্রসার ছিলো । কিন্তু কালের গর্ভে তা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্থানে স্থানে যুগীপাড়া ছিলো। সেখানে লুঙ্গি গামছা শাড়ি এসব স্থানীয় ভাবে তৈরী হতো। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এগুলো বাইরের জেলা গুলোতে চালান হতো। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে পারলে সেগুলো হয়তো আবার চালু হবে। আশা করা যায় এ থেকে তখন হয়তো এ এলাকার অনেক উন্নতি সাধিত হবে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন কৃষিঋণ, সার, বীজ, উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ, হাঁস মুরগি পালন, কীটনাশক ছাড়া সব্জী চাষ, খাদ্যে পুষ্টিমান ইত্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা প্রয়োজন।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যম হওয়া উচিত নাটক, কথিকা, জীবন্তিকা ইত্যাদির মাধ্যমে। এরা আরো জানিয়েছেন স্থানীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে সবার কাছে তা গ্রহনযোগ্য হবে। এছাড়াও স্থানীয় ভাষায় নাটক, গান এবং স্থানীয় সমস্যা ও সমাধান ইত্যাদি বেশী বেশী প্রচার হওয়া দরকার বলে সবাই জানিয়েছেন।
উপসংহার:- সার্বিক জরিপে দেখা যায় এ এলাকার জন্য কমিউনিটি রেডিওর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুর্গম এ অঞ্চলের মানুষ কাছের খবরটিও সঠিক ভাবে পায়না। কথায় কথায এলাকাবাসী জানায়, ‘‍ইরােক েবামায় মানুষ মরার খবর আমরা সাথে সাথে রেডিও টেলিভিশনে পাই কিন্তু পাশের গ্রামে মড়ক লেগে হাঁসমুরগী মারা গেলে আমরা তার খবর পাইনা‍ অথচ এটি আমাদের জন্য অধিকতর জরুরী’। এখানে এটি স্থাপিত হলে শুধু দুর্যোগকালীন সময়েই নয়, এ কেন্দ্র গ্রামীণ জনগণের সার্বক্ষনিক দিনযাপনের অনুসঙ্গ হয়ে থাকেব। স্থানীয় ভাষায় স্থানীয় আঙ্গিকে স্থানীয় সমস্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে এটি জনগনের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং অধিক গ্রহনযোগ্যতা পাবে। এলাকায় সচেতনতা বাড়বে। উপকৃত হবে প্রান্তিক মানুষ।

মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ
ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক
মোবাইল: ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail: mhfoez@gmail.com

Mail to : massline@bangla.net
masslinemediacenter@yahoo.com



 
সকল সত্ব সংরক্ষিত সকল সত্ব সংরক্ষিত সকল সত্ব সংরক্ষিত This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free