রৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৌদ্ররৃষ্টিরৌদ্ররৃষ্টি রৌদ্রবৃষ্টি রৌদ্রবৃষ্টি রোদ্রবৃষ্টি
   
 
  মাওলানা ইয়াকুব নূরী

 

নোয়াখালীর আধ্যাত্মিক পুরুষ
মাওলানা ইয়াকুব নূরী
 
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ
 
মাওলানা ইয়াকুব নূরী ছিলেন নোয়াখালীর একজন নিভৃতচারী আধ্যাত্মিক পুরুষ। প্রায় দুই শ’ বছর পূর্বে তাঁর পিতা মাওলানা কমর উদ্দিন সুদূর ইয়েমেন থেকে ইসলামের খেদমতের উদ্দেশ্যে এ দেশে আসেন। সেই সময় পুরাতন নোয়াখালী শহরের সঙ্গে ছিলো সরাসরি সমুদ্রের যোগাযোগ। বিশ্বের নানান দেশের জাহাজ ভিড়তো সে সময়ের সমুদ্র বন্দর ‘শান্তাসিতা’ ঘাটে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সুদূর আরব দেশ থেকে অনেক সাধক পুরুষ বহু পূর্ব থেকেই ব্যাবসা বানিজ্যের উদ্দেশ্যে এ দেশে আগমন করেন। তাঁরা শুধু ব্যাবসা বনিজ্যই করতেন না।, ইসলাম ধর্ম প্রচারও তাঁদের বড় উদ্দেশ্য ছিলো। কমরউদ্দিন তৎকালীন নোয়াখালীর এক সম্ভ্রান্ত ধনী পরিবারের টুকু মুন্সির এক পর্দানশীন বিদুষী বোনকে বিয়ে করেন। মাওলানা কমরউদ্দিনও ছিলেন একজন বুজুর্গান ব্যাক্তি। কথিত আছে তাঁর ঔরসে তাঁর স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসার পর কমরউদ্দিন তাঁর স্ত্রীকে বল্লেন ‘তোমার গর্ভে যে সন্তান এসেছে, সে পৃথিবীতে এসে ইসলামের আলো জ্বালাবে’। এইবলে তিনি পুত্র ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই তঁর স্ত্রীর হাতে ছেলের জন্য টুপি ও তছবিহ দিয়ে নিজের দেশে চলে যান এবং আর কখনো ফিরে আসেননি। ভূমিষ্ট হওয়ার পর ছেলের নাম রাখা হয ‘মোহাম্মদ ইয়াকুব’। বাল্যকাল থেকেই শিশু ইয়াকুবের ভিতর আধ্যাত্মিক লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে থাকে। শৈশবে তিনি স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়াশুনা শেষ করেন। পরবর্তীতে ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে তিনি টাইটেল পাশ করেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে এসে পুরাতন শহরে এক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। কিছুদিন পর তাঁর মায়ের আদেশে তখনকার এক বুজুর্গান মাওলানা আহম্মদ উল্লাহ্‌ সাহেবের দরবারে দোয়া নিয়ে ‘বয়ত’ হন। ইতি মধ্যে তাঁর বিভিন্ন আধ্যাত্মিকতা ও ঐশ্বরিক ক্ষমতা লোকচক্ষুর সম্মুখে প্রকাশিত হতে থাকে। দলে দলে হিন্দু মুসলমান খৃষ্টান সম্প্রদায়ের নানান মানুষ তাঁর মুরিদ হতে থাকে। একটি ঘটনা তখনকার দিনে মহা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। তাঁর বংশধরদের কাছ থেকে জানা যায়, তখন ছিলো বৃটিশ আমল। বিভিন্ন যায়গা থেকে তাঁর মুরিদরা মানি ওয়ার্ডার করে তাঁর জন্য টাকা পাঠাতেন। সেই সময তাঁর গ্রামে তাঁরই নামের আর একজন গ্রামবাসীর কাছে ষোল টাকা মানি ওয়ার্ডার আসে। পোষ্ট অফিসের পিয়ন ভুল বসত: সেই টাকা মাওলানা ইয়াকুব নূরীর কাছে দিয়ে যায়। তিনি পোষ্টম্যান থেকে সই করে টাকা নিয়ে নেন। বেশ কিছুদিন পর প্রকৃত মালিক মাওলানা ইয়াকুব নূরীর নামে আদালতে মামলা ঠুকে দেন। সে সময় তিনি সর্বক্ষণ কাঠের খুঁটির খড়ম পরে থাকতেন। তাঁর নামে কোর্টে সমন হলে তিনি যথাবিহিত কাঠের খড়ম পায়ে কোর্টে উপস্থিত হন। তাঁর হাজার হাজার মুরিদ ও উৎসুক দর্শক সেই সময কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। কোর্টের কঠগড়ায় পাটাতনে তিনি খড়ম পায়ে উঠে দাঁড়ালেন। বিচারকের সামনে এভাবে আসা কোর্ট অবমাননার সামিল। হাকিম এজন্য তাঁর উপর মহা রুষ্ট হন। হাকিম তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন কিন্তু অপরাধের কথা স্বীকার করলেন না। হাকিম জেরা করার এক পর্যায়ে পর পর তিন বার তাঁকে পাগল বলে সম্বোধন করেন। পরক্ষনেই সেই হাকিম নিজেই সম্পূর্ণ উন্মাদ হয়ে গায়ের সমস্ত পরিধান খুলে মামলার নথিপত্র সব ছিঁড়ে উলঙ্গ অবস্থায় রাস্তায় নেমে আসেন। এই ঘটনা তখন হাজার হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ করে। এ খবর দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এই সাধকের প্রতি সাধারন মানুষের আরো বিশ্বাস, ভক্তি ও শ্রদ্ধা বেড়ে যায়। এ ঘটনার পর বৃটিশ সরকারের বড়লাট ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মচারীরা তাঁর কাছে ছুটে এসে মাপ চাইতে থাকে।
 
জীবিত অবস্থায় এই সাধক পুরুষ কোনোদিন এক বেলার অধিক কোনো খাদ্যবস্তু ঘরে রাখতেন না। দর্শনার্থী ও মুরিদরা যা দিতেন তার সবই তিনি গরিব দু:খীদের মাঝে অকাতরে বিলিয়ে দিতেন। তাঁর আধ্যাত্মিক ও ঐশ্বরিক ক্ষমতার জন্য তাঁকে সবাই ‘নূরী’ বা ‘ঐশ্বরিক আলো’ বলে সম্বোধন করতেন। এখনো আনেক মানুষের মুখে মুখে এই সাধক পুরুষের ঐশ্বরিক নানান ক্ষমতার কথা প্রচারিত হয়ে আসছে। নোযাখালীর সদরের সোনাপুরে তাঁর নামে ‘নূরীয়া মাদ্রাসা’ ও ‘নূরীয়া প্রাইমারি স্কুল’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর দশ ফাল্গুন যথাবিহিত তাঁর ঔরশ মোবারক পালিত হয়। দেশ বিদেশের নানান ধর্মের মানুষ সে ঔরশে সামিল হন।     
 
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ
ফ্রীল্যন্স সাংবাদিক
মাইজদি কোর্ট, নোয়াখালী
মুঠোফোন: ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail: mhfoez@gmail.com
       
Mahmudul Huq Foez
 
আপনজন
 
ভালোবাসার একটি গোলাপ
সাতরাজারই ধন,
কোথায় খুঁজিস ওরে ক্ষেপা
এইতো আপন জন।
নীরবতা
 
নীরবে কেটেছে দিবস আমার
নীরবে কেটেছে রাত,
নীরবে হেনেছে হৃদয় আমার
প্রণয়ের অভিসম্পাত।
রঙ
 
রঙ দেখেছো রঙ ?
শাওন রাতের
নিকষ কালো
অন্ধকারের রঙ !
রঙ দেখেছো রঙ !
কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
 
কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content)
সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ
মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ

উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী একটি দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। নোয়াখালী সদরের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই চর এলাকা। এখানে বাস করে সাধারন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের অধিকাংশই কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। তাছাড়াও দিনমজুর, রিক্সাশ্রমিক, জেলে প্রভৃতি পেশার মানুষ এখানে বাস করে। খুব কমসংখ্যক নারি কৃষি সহ বিভিন্ন কাজ করলেও তারা মূলত ঘরকন্যার কাজ করে থাকে। ঘর কেন্দ্রিক নানান কাজের সঙ্গেও এরা জড়িত। এইসব নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শিক্ষার হার খুব কম। জীবনযাপন সম্পর্কে সচেতনতাও এদের তেমন নেই। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এরা বেশীরভাগ সময়ে সনাতন জ্ঞান, নিজস্ব ধারনা এবং আকাশের হাবভাব দেখে বুঝতে চেষ্টা করে। প্রায় ক্ষেত্রে এরা নিয়তির উপর নিজেদেরকে সমর্পন করে থাকে। তবে গত কয়েক বছরের বড় ধরনের ঝড় জলোচ্ছাস ও সাম্প্রতিক সিডরের কারনে এদের ভিতর কিছুটা সচেতনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এদের অধিকাংশের বাড়িতে রেডিও কিংবা টেলিভিশন নেই। তবে তারা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে রেডিও টেলিভিশন থেকে খবরাখবর পেয়ে থাকে।
গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে অনেক গুলো বড় বড় ঝড় জলোচ্ছাস গর্কী সহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বয়ে গিয়েছিলো। সে দুর্যোগ গুলোতে প্রচুর প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ‘৫৮.’৬০, ও ‘৭০ এর জলোচ্ছাস এ অঞ্চলে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিলো। সে সময় এখানকার মানুষ কোনো মাধ্যম থেকে কেনো সংবাদই পেতোনা। সে সময়ের সরকার গুলোও ছিলো এব্যপারে একেবারেই উদাসীন।
নোয়াখালী সদরের সর্বদক্ষিনে হাতিয়া ষ্টিমার ঘাট ও অতিসম্প্রতি বয়ার চরের সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলে ফেরী চলাচলের জন্য চেয়ারম্যান ঘাট নামক স্থানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন সংস্থার একটি পল্টুন স্থাপিত হয়েছে । এখানে হাতিয়া দ্বীপ ও নোয়াখালীর মূল ভূখন্ডের মধ্যে ফেরি যোগাযোগ রয়েছে । এ এলাকায় মেঘনার মোহনায় প্রচুর সমুদ্রগামী মাছ ধরার ট্রলার ও ছোটছোট জেলে নৌকা এসে ভীড়ে থাকে । এই ফেরীঘাটের সুবাদে এখানে একটি জমজমাট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানের অনেক জেলে জানিয়েছেন, তাদের অনেকেরই নিজস্ব কোনো রেডিও নেই। যারা চরের কাছাকাছি থেকে সাধারনত: মাছ ধরে থাকে। ছোট নৌকা নিয়ে তারা কখনো গভীর সমুদ্রে যায় না। কখনো কোনো দুর্যোগ দেখলে নদীর হাবভাব বুঝে সাবধানতা অবলম্বন করে। সারাদিন মাছ ধরা শেষে রাতে তারা চেয়ারম্যান ঘাটে কিংবা হাতিয়া ষ্টিমার ঘাটে আসলে লোকমুখে বিভিন্ন সংবাদ পেয়ে থাকে। নদীর কূলের এ বাজার গুলোতে এখন রেডিও তেমন শুনা হয়না। চা দোকান গুলোতে টেলিভিশন আছে । তাই সেখানে কাষ্টমারের ভীড় লেগে থাকে। যে দোকানে টেলিভিশন নেই সে দোকানে লোকজন তেমন যায় না। এসব দোকান গুলোতে বেশীর ভাগ সময় নাটক ও সিনেমা বেশী দেখা হয়। তবে দুর্যোগকালীন সময় সংবাদ বেশী দেখা হয়। এলাকার মানুষদের বদ্ধমূল ধারনা জন্মেছে যে, রেডিও টেলিভিশনে জাতীয় সংবাদ ছাড়া স্থানীয় সংবাদ প্রচারিত হয়না। তাই তারা খুব প্রয়োজনীয় তথ্য ও স্থানীয় সংবাদ গুলো লোকমারফত পেয়ে থাকে। তবে তা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক হয়না। দুর্গম অঞ্চলের অনেক মানুষ জানিয়েছেন গত সিডরের সময় তারা লোকমুখে সংবাদ পেয়েছিলেন। সাগরের অবস্থা দেখে তারা সাগর থেকে ডাঙ্গায় চলে এসেছেন, তবে অনেকে উপরে সাগরের কাছাকাছি নিজেদের ঘরেই ছিলেন। অনেকেই নিজের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।
জরিপের বিশ্লেষন: কমিউনিটি রেডিও’র অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু (content) সম্পর্কে অংশগ্রহণমূলক জরিপ কার্য চালানোর সময় জানা গেছে, এরকম একটি সম্প্রচার কেন্দ্র সন্মন্ধে অনেকেরই ধারনা খুবই অস্পস্ট। এব্যপারে অনেকের কোনো রকম কোনো ধারনাই নেই। তবে বিষয়টি বুঝার পরে সবার মধ্যেই প্রচুর আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তারা সকলেই মত দেন যে এরকম একটি কেন্দ্র এলাকায় খুবই প্রয়োজন।
নোয়াখালী জেলার সর্বদক্ষিনে সমুদ্র উপকূলের কয়েকটি এলাকায় মোট ২০জনের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয়। এখানে মাত্র দুজনের রেডিও এবং মাত্র এক জনের নিজস্ব একটি ছোট্ট টেলিভিশন ও রেডিও রয়েছে। তাদের অবশ্য খবর তেমন শুনা হয়না। রেডিওতে গান এবং টেলিভিশনে নাটক দেখা ও গানশুনা বেশী হয়। নারিদের শুধু নাটক ও গানই শোনা হয়। তবে পুরুষরা মাঝে মাঝে খবর শুনে থাকে। নারিদের মধ্যে খবর শুনার আগ্রহ খুব কম। গত সিডরের সময় পুরুষরা ১০০ শতাংশই রেডিও কিংবা টেলিভিশনে খবর পেয়েছেন কিন্তু ১০০ শতাংশ নারি বলেছেন তারা তাদের স্বামী কিংবা লোকমারফত খবর পেয়েছেন। ৮০শতাংশ বলেছেন তারা ঝড়ের পূর্বাভাষ পেয়ে নিজেদের জায়গায়ই অবস্থান করেন। এর কারণ হিসাবে তাঁরা বলেন বাড়ির নিরাপত্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। যেমন সেখানে কোথাও পানি বা বাথরুমের ব্যবস্থা নেই। এ নিয়ে বিশেষ করে মেয়েদের খুবই অসুবিধা পড়তে হয়। তাই অনেকেই সেখানে যেতে তেমন আগ্রহী হয়না। নিয়তির উপরও তারা অনেকাংশে নির্ভরশীল। ১০০ শতাংশ বলেছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়কালে তাঁরা আবহাওয়ার সংবাদ শুনতে চান। ১০০ শতাংশ বলেছেন তাদের অনুষ্ঠান দেখতে সবচেয়ে বেশী আগ্রহ নাটকের প্রতি । তবে বাংলা সিনেমার প্রতিও তাদের আগ্রহ রয়েছে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন, কমিউনিটি রেডিও স্থাপিত হলে শিক্ষার উপর সবচেয়ে বেশী অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেয়া উচিত। অন্য ৩০ শতাংশ জানিয়েছেন শাসন না করলে শিশুদের পড়াশুনা হয়না। তবে তারা এও জানিয়েছেন এর মাত্রা যেন অতিরিক্ত না হয়। এ বিষয়ে শিশুদের উপযোগী অনুষ্ঠান প্রচারের প্রয়োজনীয়তার কথা তারা জানিয়েছেন। ১০০ শতাংশ জানিয়েছেন বয়ো:সন্ধিকালীন সময়ে মেয়েদের সমস্যা বিষয়ক সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান বিশেষ ভাবে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। সবাই মনে করেন এ ব্যপারে মেয়েরা এমন কি অভিভাবকরাও এ বিষয়ে তেমন সচেতন নন। এ নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক দ্বিধা কাজ করে। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা বোধ করেন। এথেকে মেয়েরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ে ১০০শতাংশ জানিয়েছেন মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুস্বাস্থ্য, সাধারন রোগবালাই, ডায়রিয়া, খাদ্যে পুষ্টিমান, টিকা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতনতা মুলক অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। তবে মাত্র এক জন এইড্‌স বিষয়ে অনুষ্ঠান করার কথা জানিয়েছেন। বাসস্থান বিষয়ে ৭৫শতাংশ জানিয়েছেন, ভূমি ও ভূমির অধিকার বিষয়ে নানান অনুষ্ঠান প্রচার করা দরকার। অবশ্য এ ব্যপারে পুরুষরাই বেশী আগ্রহী। নোয়াখালীতে তাঁত শিল্পের তেমন কোনো প্রসার নেই। এবিষয়ে কারো তেমন কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ১০০শতাংশই হস্তশিল্প ও নারিদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করার কথা বলেছেন। একজন মন্তব্য করেন এক সময় নোয়াখালীতে প্রচুর তাঁতের প্রসার ছিলো । কিন্তু কালের গর্ভে তা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্থানে স্থানে যুগীপাড়া ছিলো। সেখানে লুঙ্গি গামছা শাড়ি এসব স্থানীয় ভাবে তৈরী হতো। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও এগুলো বাইরের জেলা গুলোতে চালান হতো। কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে পারলে সেগুলো হয়তো আবার চালু হবে। আশা করা যায় এ থেকে তখন হয়তো এ এলাকার অনেক উন্নতি সাধিত হবে।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন কৃষিঋণ, সার, বীজ, উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ, হাঁস মুরগি পালন, কীটনাশক ছাড়া সব্জী চাষ, খাদ্যে পুষ্টিমান ইত্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা প্রয়োজন।
১০০শতাংশ জানিয়েছেন অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যম হওয়া উচিত নাটক, কথিকা, জীবন্তিকা ইত্যাদির মাধ্যমে। এরা আরো জানিয়েছেন স্থানীয় ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে সবার কাছে তা গ্রহনযোগ্য হবে। এছাড়াও স্থানীয় ভাষায় নাটক, গান এবং স্থানীয় সমস্যা ও সমাধান ইত্যাদি বেশী বেশী প্রচার হওয়া দরকার বলে সবাই জানিয়েছেন।
উপসংহার:- সার্বিক জরিপে দেখা যায় এ এলাকার জন্য কমিউনিটি রেডিওর অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুর্গম এ অঞ্চলের মানুষ কাছের খবরটিও সঠিক ভাবে পায়না। কথায় কথায এলাকাবাসী জানায়, ‘‍ইরােক েবামায় মানুষ মরার খবর আমরা সাথে সাথে রেডিও টেলিভিশনে পাই কিন্তু পাশের গ্রামে মড়ক লেগে হাঁসমুরগী মারা গেলে আমরা তার খবর পাইনা‍ অথচ এটি আমাদের জন্য অধিকতর জরুরী’। এখানে এটি স্থাপিত হলে শুধু দুর্যোগকালীন সময়েই নয়, এ কেন্দ্র গ্রামীণ জনগণের সার্বক্ষনিক দিনযাপনের অনুসঙ্গ হয়ে থাকেব। স্থানীয় ভাষায় স্থানীয় আঙ্গিকে স্থানীয় সমস্যাদি বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচারিত হলে এটি জনগনের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং অধিক গ্রহনযোগ্যতা পাবে। এলাকায় সচেতনতা বাড়বে। উপকৃত হবে প্রান্তিক মানুষ।

মাহ্‌মুদুল হক ফয়েজ
ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক
মোবাইল: ০১৭১১২২৩৩৯৯
e-mail: mhfoez@gmail.com

Mail to : massline@bangla.net
masslinemediacenter@yahoo.com



 
সকল সত্ব সংরক্ষিত সকল সত্ব সংরক্ষিত সকল সত্ব সংরক্ষিত This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free